BANGLADESH LARGEST JOB SIDE &SERVICE 

VACANCY 

Bangladesh Best Service Provider  

ate Govt Approval Agency    

চাকরি পাওয়ার নতুন কৌশল 

ক্লাসের ফার্স্ট বয় কিংবা ফার্স্ট গার্ল হলেই যে ভালো চাকরিটা সবার আগে পাবেন এমন ধারণা গত হয়েছে ঢের আগে। চাকরির গোপন ফর্মুলা এখন লুকিয়ে আছে 'অন্য কিছু'র মধ্যে। সেই অন্য কিছু নিয়েই এ আয়োজন। লিখেছেন-তামান্না তানভী

একটা সময় ছিল যখন অভিভাবক বলতেন, অঙ্ক আর ইংরেজিটা ভালো করে শেখো, নইলে ভালো চাকরি পাবে না। 'ওহ দিন গুজার গ্যায়া', এমনকি ইংরেজি ও কম্পিউটারজ্ঞানের ওপর ভরসা করেও আর এগোনো যাচ্ছে না। নয়া জমানার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চাকরির বাজারেও হাল আমলে যোগ হয়েছে নতুন নতুন চাহিদা। তার সঙ্গে মিল রেখে নতুন সব যোগ্যতায় নিজেকে সাজাতে হচ্ছে নবীন চাকরিপ্রার্থীদের।

নতুন তরিকা ও নেটওয়ার্কিং
ধরুন, কোনো একটি পদে হুট করে গুটিকয়েক কর্মীর দরকার হয়ে পড়ল। অল্প কয়েকটি পদের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেয়াটা অনেক সময় চাকরিদাতার কাছে হাস্যকর হয়ে দাঁড়ায়। আশপাশের পরিচিতজনদের মধ্যে যোগ্য কেউ থাকলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়। কী দরকার এ মহাযজ্ঞের! বিশ্বাস করুন, কোম্পানির মালিক হলে আপনিও এমনটা ভাববেন, এতে দোষের কিছু নেই। তো, পরিচিত গ-ির মধ্যে পাওয়া না গেলে ডাক পড়ে আশপাশের সহকর্মী ও অধস্তনদের। তাদের বলা হয়, আপনারাই খুঁজে বের করুন না! বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এর বেশি আর গড়ায় না চাকরির পানি। গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠান ছাড়া বেশিরভাগ চাকরিই বিজ্ঞপ্তির মুখ দেখে না। তাই বলে ওই বেশিরভাগ চাকরি কি আপনার নাগালের বাইরে থাকবে? যদি তা না চান তবে আপনাকে কৌশলে স্থান করে নিতে হবে সেই দ্বিতীয় স্তরটিতে, যেখানে আপনার চেনা গ-ির মধ্যে থাকবেন দেশের সেরা চাকরিদাতা কিংবা কোম্পানির সিনিয়র এক্সিকিউটিভরা। আধুনিক কেতাবি ভাষায় যাকে বলা যায় 'নেটওয়ার্কিং'। চাকরির বাজারে ভালো অবস্থান ধরে রাখতে অবশ্যই আপনাকে গড়ে তুলতে হবে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক।

সিভির দিকে মনোযোগ দিন
সিভিতে অবশ্যই ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। সুন্দরভাবে তুলে ধরা অবজেক্টিভ অবশ্যই নিয়োগকারীদের প্রভাবিত করে। সর্বোচ্চ দুই-তিন লাইনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী নিজের শক্তিশালী দিকগুলো তুলে ধরতে হবে। অবশ্যই তা যেন নিয়োগকারীদের বিরক্তির উদ্রেক না করে। সিভি যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত করা ভালো। পরীক্ষার ফল সিজিপিএ ব্যাংকিং ৩-এর নিচে হলে না লেখাই ভালো, তবে সে ক্ষেত্রে কাজের অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের বিস্তারিত বিবরণ না দিলেও সমস্যা নেই। বৈবাহিক অবস্থা, জাতীয়তা, ধর্ম, ওজন, উচ্চতাÑ এসব তথ্যও খুব জরুরি নয়। রেফারেন্স হিসেবে ফ্রেশারদের অবশ্যই তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষককেই নির্বাচন করা উচিত। আরেকজন হতে পারেন, যে প্রতিষ্ঠানে আবেদন করছেন সেখানকার সুপরিচিত কেউ। রক্তের সম্পর্কের কাউকে এখানে উল্লেখ না করাই উচিত। তবে রেফারেন্স যাদের দেয়া হবে তাদের জানিয়ে রাখতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় তাদের কাছে সিভির একটি কপি থাকলে।

এক্সট্রা কারিকুলার
এখনকার করপোরেট অফিসগুলোতে এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজের ওপর খুবই গুরুত্ব দেয়া হয়। সিভিতে যত বেশি সহশিক্ষা কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করতে পারবেন, চাকরির ইন্টারভিউতে ডাক পাওয়ার সম্ভাবনা ততই বেশি হবে। ২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে 'ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যান্ড গ্লোবালাইজেশন' শিরোনামে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। যেখানে রসায়নে নোবেল বিজয়ী তাইওয়ানের প্রফেসর লি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, 'বি ইউজফুল, বি ইউজফুল ফর দ্য সোসাইটি'। সমাজের জন্য নিজেকে যোগ্য করে তোলার মাধ্যমে ক্যারিয়ারকেও বর্ণাঢ্য করা সম্ভব। এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজগুলো আপনাকে নানাভাবে সাহায্য করবে। ভালো বিতার্কিক হওয়া মানে আপনি ভালো প্রেজেন্টেশন করতে পারবেন। এই গুণগুলো সব চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানই আশা করে। যোগ দিতে পারেন ফটোগ্রাফি কিংবা ড্রামা ক্লাবে। এতে আপনার পাবলিক রিলেশন গুণাবলী আরো উন্নত হবে।

স্বেচ্ছাসেবক
নেটওয়ার্ক বাড়ানোর জন্য একটি সরল পদক্ষেপ হচ্ছে সামাজিক উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা। এর সুবাদে অনেক গুণী লোকের সঙ্গে পরিচয় হতে পারে। এমন অনেকেই তখন আপনাকে চিনবেন, যারা কি না অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে কর্মরত। ফলে যখন তাদের কর্মীর দরকার হবে তখন তারাই হয়তো আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।

আপডেটেড থাকুন
সময়টাই এগিয়ে থাকার। শত মানুষের মধ্যেও চাকরিদাতার চোখ যেন আপনার ওপরই পড়ে। যদি তিনি আপনার মধ্যে বিশেষ গুণের সন্ধান পান তবে চাকরিটা আপনার ঝুলিতেই পড়বে। এ জন্য দরকার চাকরিদাতার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আগে থেকেই কিছু জেনে রাখা। এ কাজে ঢের উপকারে লাগে প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইট। ওইসব ওয়েবসাইটে নিয়মিত ঢুঁ মারলেই যথেষ্ট। পছন্দের প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা তৈরি করে রাখুন। তাদের চাকরির বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে খোঁজখবর রাখুন। চাকরির ধরন বুঝে তৈরি করুন আবেদনপত্র। অনলাইনেও আবেদন করা যায়। আধুনিক সব প্রযুক্তিকেই কাজে লাগান। বিবিসির মতো অনেক বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান নতুন চাকরির খবর ই-মেইলেও জানিয়ে দেয়। সেসব মেইলিং লিস্টের সদস্য হতে পারেন। এনজিওগুলোর ক্ষেত্রে তাদের প্রজেক্টগুলো সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে রাখুন। সুযোগ বুঝে তাদের কোনো একটি প্রজেক্ট সম্পর্কে আপনার আগ্রহ ও পরামর্শের কথা মেইল করতে পারেন।

রেফারেন্স তৈরি
বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান গুগলে ইন্টার্নশিপ করেছেন বাংলাদেশের রাগিব হাসান। তিনি জানান, গুগল শতকরা ৬০ ভাগ কর্মীই রেফারেন্সের মাধ্যমে নেয়। এমনি এমনি রেফারেন্স তৈরি হয়ে যাবে, এমনটি ভাবা অযৌক্তিক। এ জন্য নিজেকেই উদ্যোগী হতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ যার সঙ্গেই পরিচয় হবে, তার ভিজিটিং কার্ড সংরক্ষণ করুন। নানা উৎসব আয়োজনে তাদের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠাতে পারেন। তার দুঃখের খবর জানলে সমবেদনা জানান। সম্ভব হলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। রেফারেন্স বাড়ানোর এটিই সহজ তরিকা।

জব মার্কেট সম্পর্কে জ্ঞান
প্রত্যাশিত চাকরি পেতে হলে চাকরির বাজার সম্পর্কে অবশ্যই ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। কখন কোন কাজের চাহিদা বেশি, সেটা আঁচ করতে হবে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে।

আগ্রহ অনুযায়ী পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ
২০০১ সালে আমেরিকার বিখ্যাত স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বক্তৃতায় অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, 'ভালোবাসার কাজটি খুঁজে নিতে হবে।' আপনার ভালোবাসার কাজ কোনটি তা অন্য কেউ ঠিক করে দেবে না। নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া করেই বুঝে নিন আপনার পছন্দের কাজ কোনটি। আর পছন্দের চাকরির জন্য প্রশিক্ষণের সুযোগও আছে যথেষ্ট। গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ফটোগ্রাফি, ভিডিও এডিটিং থেকে শুরু করে আছে রেডিও জকি তৈরির কারখানাও। পাশাপাশি শিখতে পারেন বিভিন্ন ভাষাও।

চাকরি মেলায় যান
প্রতি বছরই নানা পরিসরে জব ফেয়ার হয়। সেখানে চাকরির ডালি নিয়ে হাজির হয় চাকরিদাতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। জব ফেয়ারে যাওয়ার আগে সুন্দর গোছানো সিভি নিয়ে যেতে ভুল করবেন না। মেলায় প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন সেমিনারেরও আয়োজন করে। চাকরির হালহকিকত জানতে ওই সেমিনারে অংশ নিতেই হবে।

'প্লিজ আমাকে ডাকুন'
প্রয়োজনটা যেহেতু আপনার, তাই আগ বাড়িয়ে আপনাকেই বলতে হবে 'প্লিজ আমাকে ডাকুন'। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়ার আগেই সেখানে সিভি জমা দিতে পারেন। আপনার যোগ্যতা ও চাহিদামতো পদের কথাও উল্লেখ করতে পারেন আবেদনপত্রে। যোগ্যতা একাধিক পদে হলে ভিন্ন ভিন্ন পদের কথা উল্লেখ করতে পারেন। এখন বড় করপোরেট হাউসগুলো প্রার্থী বাছাই পর্যন্ত পুরো কাজটি তৃতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে করিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে ঢাকা ইউনিভার্সিটির আইবিএ ডিপার্টমেন্ট, এমজিএইচ গ্রুপ, গ্রো অ্যান্ড এক্সেলের মতো নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যোগাযোগ করে আপনার সিভি জমা দিতে পারেন।

জীবনের ধন কিছুই যাবে না ফেলা
অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা ছেড়ে দেন। পরে নিতান্তই শখের বসে রিড কলেজ থেকে ক্যালিগ্রাফির ওপর একটি কোর্স করেন। এ ক্যালিগ্রাফি যে কাজে আসতে পারে তা ভাবেননি। এর ১০ বছর পর স্টিভ যখন ম্যাকিন্টস কম্পিউটারের ডিজাইন করছিলেন তখন কাজে লাগে তার ক্যালিগ্রাফি-বিদ্যা। ম্যাক কম্পিউটারের ফন্ট জবসের ক্যালিগ্রাফি-বিদ্যার ফসল। পরবর্তী সময়ে উইন্ডোজ ম্যাকের ফন্ট ব্যবহার করে। তাই বলা হয়, জবস যদি ক্যালিগ্রাফি না শিখতেন তাহলে হয়তো কম্পিউটারে এত সুন্দর ফন্ট থাকত না। স্টিভ জবসের মতোই জীবনের সব জ্ঞান আপনার জন্য একেকটি বিন্দুর মতো কাজ করবে। সুতরাং যতটা সম্ভব নিজের অভিজ্ঞতার ঝুলিকে ভরে তুলুন। সেসব জুড়ে দিয়ে পেয়ে যাবেন জীবনের সরল সমাধান।

সরকারী চাকরি পাওয়ার ৬টি সহজ টিপস

আপনি হয়তো একবারেই সরকারী চাকরি পাবেন না।আবার হয়তো লেখা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ইন্টারভিউতে চান্স পেলেন না।এতে কিন্তু একদম ঘাবড়ে যাবেন না।বরং বারবার ইন্টারভিউ দিন।প্রশ্নের সম্মুখীন হোন আর ব্যর্থ হলেও খারাপ লাগাবেন না।যতবার ইন্টারভিউ দেবেন,ততবার আপনার বলার দক্ষতা আর পার্সোনালিটি বাড়বে।তা আপনাকে একসময় সাহায্য করবে। 

সব্বাই চায় একটা সরকারী চাকরি।মাইনে থেকে শুরু করে ছুটি ও অন্যান্য সুবিধা,সব দিক থেকেই সরকারী চাকরির জুড়ি নেই।তারপর আবার রিটায়ারমেন্টের পর ভালো অঙ্কের পেনশন- এইটা সরকারী চাকরি ছাড়া আর কোথাও হওয়া সম্ভব নয়।তাই সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষদের সরকারী চাকরি পাওয়ার জন্য এতো ছোটাছুটি।কিন্তু জানেন কি কিভাবে আপনি সরকারী চাকরি পেতে পারেন।জেনে নিন সহজ ৬টি উপায় আজকের আর্টিকেল থেকে।

সরকারী চাকরি যেহেতু খুবই কাঙ্ক্ষিত একটি ক্ষেত্র,তাই এখানে প্রতিযোগিতা অনেক।সেখান থেকে আপনাকে চাকরিটা পেতে হবে।তাই তার জন্য দরকার প্রস্তুতি।আপনাকে নিজেকে সময় দিতে হবে আর কঠিন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।নির্দিষ্ট সময় মেনে পড়তে হবে আর প্র্যাক

. উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান দেখুন

দেখুন সরকারী চাকরি আপনি বাড়িতে বসেই প্রস্তুতি নিয়ে হয়তো পেতে পারেন।কিন্তু একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়ে সেখান থেকে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ নিলে তা আরও ভালো।দেখুন কোনো প্রতিষ্ঠানে থাকে নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো প্যানেল,তাঁরা জানেন উপযুক্ত পদ্ধতি।আর সেখানে পরীক্ষাও নেওয়া হয় নির্দিষ্ট সময়ে,সেটা আপনার প্রস্তুতিতে সাহায্য করবে।

৩. কোন চাকরি করবেন সেটা দেখুন

দেখুন অনেকে ভাবেন যেহেতু সরকারী চাকরির প্রশ্নপত্রের প্যাটার্ন মোটামুটি একইরকম,তাই নির্দিষ্ট কোনো চাকরী না দেখে সবগুলোতেই দিলে হয়।একটা না একটা তো হয়েই যাবে।কিন্তু এখানেই ভুল।আপনাকে বাছতে হবে আপনি কোন চাকরীর জন্য পড়বেন,কারণ উচু পদের জন্য আশা করলে পথ কিন্তু আলাদা আলাদা হয়।তাই প্রস্তুতিও আলাদা হবে।তাই কোন চাকরী আপনি করবেন সেটা ভাবুন আর নিজেকে বুঝুন আপনি কোন কাজের জন্য উপযুক্ত।টিস করতে হবে।তাই সরকারী চাকরি পাওয়ার জন্য একটা দীর্ঘদিনের পরিশ্রম লাগে। 

৩. কোন চাকরি করবেন সেটা দেখুন

দেখুন অনেকে ভাবেন যেহেতু সরকারী চাকরির প্রশ্নপত্রের প্যাটার্ন মোটামুটি একইরকম,তাই নির্দিষ্ট কোনো চাকরী না দেখে সবগুলোতেই দিলে হয়।একটা না একটা তো হয়েই যাবে।কিন্তু এখানেই ভুল।আপনাকে বাছতে হবে আপনি কোন চাকরীর জন্য পড়বেন,কারণ উচু পদের জন্য আশা করলে পথ কিন্তু আলাদা আলাদা হয়।তাই প্রস্তুতিও আলাদা হবে।তাই কোন চাকরী আপনি করবেন সেটা ভাবুন আর নিজেকে বুঝুন আপনি কোন কাজের জন্য উপযুক্ত

৪. ইন্টারভিউতে যান

আপনি হয়তো একবারেই সরকারী চাকরি পাবেন না।আবার হয়তো লেখা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ইন্টারভিউতে চান্স পেলেন না।এতে কিন্তু একদম ঘাবড়ে যাবেন না।বরং বারবার ইন্টারভিউ দিন।প্রশ্নের সম্মুখীন হোন আর ব্যর্থ হলেও খারাপ লাগাবেন না।যতবার ইন্টারভিউ দেবেন,ততবার আপনার বলার দক্ষতা আর পার্সোনালিটি বাড়বে।তা আপনাকে একসময় সাহায্য করবে। 

আপ টু ডেট থাকুন

দেখুন সরকারী চাকরি করতে হলে আপনাকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।কখন কোথায় কি হচ্ছে সেটা আপনাকে খেয়াল রাখতেই হবে।চাকরির পরীক্ষার জন্য তো বটেই,চাকরি পাওয়ার পরেও পদন্নোতির জন্যও এটা খুব দরকার।আপনাকে চাকরি ক্ষেত্রেও হয়তো অনেকসময় অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হতে পারে যা আপনি আপনার আপডেটেড থাকার ব্যাপার দিয়ে মিটিয়ে ফেলতে পারেন।


চাকরি পেতে হলে বেকারদের যা করণীয়................


আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য দরখাস্ত করছেন কিন্তু আপনাকে ডাকছে না। বিশ্বাস করুন বা নাই করুন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রায় ৮৫% চাকরি প্রার্থী বাদ পড়ে যায় আবেদনের প্রথম দিকেই। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ভুল জাগায় আবেদন, জীবনবৃত্তান্ত তথ্য সমৃদ্ধ না হওয়া, একই ধরনের কভার লেটার ব্যবহার করা, সাক্ষাৎকার দিতে দেরিতে পৌঁছানো এবং আরো অনেক কারণে বাদ হয়ে যেতে পারেন আপনি। তবে সত্যি কথা এই যে, আপনার জন্য একটা সুখবর আছে। আপনাকে মাত্র ১৫% লোকের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে। এটা কঠিন কোনো ব্যাপের নয় আপনি চাইলেই একটু সময় ও শ্রম দিলেই আপনি গড়ে তুলতে পারবেন নিজেকে। কিভাবে নিজেকে চাকরি উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারেন চলুন জেনে নেই সহজ কতগুলো টিপস

গবেষণা: প্রথমেই আপনি জেনে নিন প্রতিষ্ঠানটির আদ্যপান্ত যেখানে আপনি ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন। পড়ুন প্রতিষ্ঠানটির আগের বিজ্ঞপ্তিগুলো। জেনে নিন প্রতিষ্ঠানটির পণ্য বা সেবা সর্ম্পকে। যতটুকু পারেন জেনে নিন কোম্পানি এবং তাদের কাজ সর্ম্পকে। জানুন গ্রাহকরা তাদের পণ্য বা সেবাতে কি রকম ধারণা পোষণ করে? খুঁজুন কোম্পানির দুর্বলতা কোথায় এবং তাদের সফলতাই বা কোথায়।

সম্পাদনা: আপনার জীবন বৃত্তান্তটি বারবার দেখুন কোনো জায়গায় ভুল তথ্য আছে কি না। জীবনবৃত্তান্তে কোনো ভুল আপনার বড় ধরনের অযোগ্য হিসেবে প্রমাণ করবে। তাই এই ব্যাপারে খুবই সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

অনুশীলন: ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার আগে কি বলবেন বা করবেন আগে থেকেই চর্চা করে নিন। আপনার বন্ধুকে চেয়ারে বসান এবার তাকে বলুন আপনাকে প্রশ্ন করতে ঠিক যেভাবে একটি ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রশ্ন করা হয়। আপনি এবার তার প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দেয়ার চেষ্টা করুন।

পোশাক: শালীন এবং আকর্ষণীয় পোশাক পরিধান করুন। মনে রাখবেন আপনি যেখানে ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন তাদের থেকেও যেন আপনার পোশাকটা ভালো হয়।

সাক্ষাতের পরে: ইন্টারভিউ দিয়ে আসার পর অবশ্যই
তাদের একটি ধন্যবাদ সূচক ই-মেইল বা চিঠি পাঠাতে ভুলবেন না। এতে করে আপনার প্রতি তাদের ইতিবাচক একটা ভালো ধারণা হবে। উপরের সহজ নিয়মগুলো একটু কষ্ট করে মেনে পালন করতে পারলেই চাকরির জন্য যে ১৫% উপযুক্ত তাদের মধ্য পড়ে যাবেন। তাহলে চর্চা শুরু করুন আজকে থেকেই।

নিয়োগ প্রক্রিয়া 

সরকারী ব্যাংক এবং বেসরকারী ব্যাংকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সাধারণত কিছু পার্থক্য রয়েছে। সরকারী ব্যাংকগুলোর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যখন সকল অনুষদের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারে, তখন বেসরকারী ব্যাংকগুলোতে ব্যবসায় শিক্ষার ছাত্র ছাত্রীদেরকে বেশী প্রাধান্য দেওয়া হয়।
সরকারী যে কোন ব্যাংকের চাকরির বিজ্ঞাপন এর জন্য প্রধানত বিভিন্ন গণমাধ্যম ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ, জাতীয় পত্রিকা থেকে শুরু করে চাকরির ওয়েবসাইট এবং ব্যাংকগুলোর নিজস্ব ওয়েবসাইটে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়ে থাকে।


সরকারী ব্যাংকে নিয়োগ প্রক্রিয়া 

সরকারী ব্যাংকগুলোতে মূলত তিনটি পদের জন্য সদ্য স্নাতকদের নিয়োগ করা হয়-
১। সুপারভাইজার
২। অফিসার
৩। সিনিয়র অফিসার

এছাড়াও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু লোক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। যেমন- IT (Information Technology), Accounting ইত্যাদি শাখায় নিয়োগ। একে ব্যাংকিং এর ভাষায় বলা হয়ে থাকে 'Special Recruitment'। কিন্তু এ ধরনের নিয়োগ সচরাচর দেয়া হয়না। সাধারণত কোন একটি বিষয়ে পারদর্শী এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোকদেরকে এক্ষেত্রে নিয়োগ করা হয়ে থাকে।.


বেসরকারী ব্যাংকের নিয়োগ প্রক্রিয়া 

সাধারণত বেসরকারী ব্যাংকের নিয়োগ প্রক্রিয়া নির্ভর করে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব (নীতিমালার) উপর। কিছু ব্যাংক আছে যাদের নিয়োগের প্রক্রিয়া অনেকটা একইরকম হয়ে থাকে, আবার কিছু কিছু ব্যাংক আছে, যারা নিজেদের মতো করে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সাজিয়ে নেয়। মূলত চারটি এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বেসরকারী ব্যাংকগুলোতে কর্মী নিয়োগ করা হয়ে থাকে। এই এন্ট্রি পয়েন্ট গুলো হচ্ছে: Tailored Recruitment, General Banking Recruitment, Management Trainee Officer (M.T.O) or Probationary Officer (P.O) Recruitment, Lateral Recruitment। 


আপনি কি আসলেই আপনার চাকরির জন্য প্রস্তুত? জেনে নিন ৬টি উপায়ে

আমরা অনেক জেনে,শুনে এবং চিন্তা ভাবনা করে নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী সব চাইতেভালো চাকরিটাতে যোগদান করার চেষ্টা করি। একটা সময় সে স্বপ্নের চাকরিটি পেয়েও যাই।কিন্তু বিপত্তি দেখা দেয় চাকরিতে জয়েন করার পর। আশে পাশের পরিবেশের সাথেনিজেক মানিয়ে নিতে গিয়ে আপনার হয়তো মনে হয় আপনি এই চাকরিটার যোগ্য নন।আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরিতে আপনার পজিশন বেশি হয়ে গেছে ইত্যাদিঅনিশ্চয়তায় ভোগেন। কিন্তু সত্যিকার অর্থে কি তাই? নিচের ছয়টি কারণ দেখুন আরনিজেকে জানানোর চেষ্টা করুন যে আপনি আপনার কাজটির জন্য সত্যিকার অর্থেইযোগ্য! 


) আপনিআপনারকাজেরব্যাপারেউৎসাহী।

আপনি যে ফিল্ডে নিজেকে তৈরি করে উঠিয়েছেন সে ফিল্ডাতে আপনার অভিজ্ঞতা আছেবলেই আপনি সেখানে জয়েন করতে পেরেছেন। আপনি ঐ কাজটিতে উৎসাহী ছিলেনবলেই আপনি সেখানে চাকরি করার চেষ্টা করেছেন। পরবর্তিতে সেখানে স্বপ্ন অনুযায়ীচাকরিটা পেয়েও গেছেন। চাকরিটা পাওয়ার জন্য আপনাকে ইন্টারভিউ দিতে হয়েছে।অন্যান্য নিয়োগকর্তাদের নিজের কাজের মাধ্যমে ইম্প্রেস করেই আপনি আপনার লক্ষেপৌছাতে পেরেছেন। তাই বলাই যায় আপনি আপনার কাজের প্রতি উৎসাহী। এবং ঐকাজের জন্য আপনি যোগ্যও বটে।

) আপনারমধ্যেসততারয়েছে।

নিয়োগকর্তারাবিশ্বাসযোগ্যদেরভালোবাসে। আপনিযদি আপনার কাজে ততটা দক্ষ নাও হোন। আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা। আপনার আচারব্যবহার। আপনার সৎ ব্যাক্তিত্ব। আপনাকে খ্যাতিমান করে তুলবে। এরপর অবশ্যইঅবশ্যই নিয়োগকর্তাদের কাছে আপনি একজন নির্ভরযোহ্য চাকরিজীবী হিসেবে পরিচিতকরতে পারবেন।

) আপনিসাহসী।

হেনরি দি বালজাকের মতে, "সাহস এবং কাজের মধ্যেই সুখ নির্ভর করে।"

আপনি নতুন কিছু করতে ভালোবাসেন। নতুন কোনো কাজকে চ্যালেঞ্জের সাথে গ্রহনকরতে পারেন। যে কোনো কাজের ব্যাপারে আপনি ঝুঁকি নিতে পারেন। আপনি সত্যটাঅতি সহজে সাহসের সাথে বলতে পারেন। আপনার দাবি গুলো সাহসের সাথেনিয়োগকর্তাদের সম্মুখে উপস্থাপন করতে পারেন। আপনি আপনার কাজ থেকে সব চাইতেকঠিন মূহুর্তেও কাজ থেকে সরে দাড়ান না। তাহলেই আপনি যোগ্য। কেননা একজন যোগ্যচাকরিজীবী তারাই যারা তাদের মনের সকল কথা গুলো কাজের মাধ্যমে বলতে পারে।

) আপনিকর্মদক্ষ।

"তোমার মাথায় একটা ব্রেইন রয়েছে। তোমার পায়ে রয়েছে ফিট জুতো। তুমি তোমারনিজেকে পরিচালনা করতে পারো এবং দিক নির্দেশনা দিতে পারো যেটা তোমার পছন্দ।" -ডক্টর সিউস

আপনি নিজের প্রতি বিশ্বাসী যে। আপনার কাজের মাধ্যমে আপনি আপনার নিয়োগকর্তাঅথবা মালিককে অসন্তুষ্ট করেন না। আপনাকে যে কাজ দেয়া হয় আপনি সেই কাজদক্ষতার সাথে করে।

) আপনিসবারস্নেহপাওয়ারযোগ্য।

আপনি যোগ্য ব্যাক্তিত্ব। নিজের কাজ গুলো অনেক ধৈর্যের সাথে এবং দক্ষতার সাথেকরেন। সাথে সাথে সম্মলিত কাজ গুলোকে আপনার সাথের জনকে বুঝিয়ে দেন। তাছাড়াওআপনি আপনার অন্যান্য কলিগদের সাথে ভালো ব্যবহার করেন। তাদের যে কোনো কাজেসাহায্য করেন। তাদের পরিবারের সাথে আপনার রয়েছে বিশেষ সম্পর্ক। তাহলে আপনিঅবশ্যই তাদের স্নেহের যোগ্য। আর কর্পোরেট লাইফে এ যোগ্যতা যেমন সবার থাকে না।তেমনি যাদের এ যোগ্যতা রয়েছে তাদের অবস্থানটা আরো ঢের উপরের দিকে অগ্রসরহবে।

) যেকোনোকাজকরারব্যাপারেআপনাররয়েছেঅত্যাধিকইচ্ছাশক্তি।

অবশ্যই কাজের স্থান গুলোতে সব সময় প্রতিযোগীতা লেগেই থাকে। কে উপরের স্তরেঅগ্রসর হতে পারবে। কে সব চাইতে সম্মানিত আসনটিতে বসতে পারবে। এসব অহরহলেগেই থাকে কর্পোরেট অফিসে। কিন্তু আপনার যদি আপনার কাজের ব্যাপারে থাকেঅধমনীয় ইচ্ছাশক্তি তাহলে আপনি অতি সহজের আপনার স্বপ্নের স্থানটি সহজে পাবেন।

বেসরকারী ব্যাংকের নিয়োগের প্রক্রিয়া 

Enter subtitle here

Tailored Recruitment
বেসরকারী ব্যাংকের Tailored Recruitment এ সাধারনত নতুন চাকরিপ্রার্থীদের কোন একটি নির্দিষ্ট পদের জন্য নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
যেমন-কোন একটি ব্যাংকে ক্যাশিয়ার পদ খালি থাকলে ব্যাংক তাদের চাকরির বিজ্ঞাপনে সেই কথাটি উল্লেখ করে দিবে। এই পদ্ধতিতে নিয়োগ প্রাপ্তদের পুরো ব্যাংক ক্যারিয়ারটিই সাধারণত ক্যাশ শাখায় কেন্দ্রীভূত হয়ে থাকবে। ব্যাংকিং এর ভাষায় একে 'Tailored Recrutiment' বলা হয়ে থাকে।

যোগ্যতা-
যে কোন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রীধারীরা এ পদে আবেদন করতে পারে। তবে কিছু ব্যাংক নির্দিষ্ট বিষয়ে ডিগ্রীধারীদের প্রাধান্য দিয়ে থাকে (যেমন-এম বি এম ডিগ্রী)। প্রত্যেক পরীক্ষায় কমপক্ষে ২য় শ্রেণী প্রাপ্ত হতে হবে।
General Banking Recruitment
জেনারেল ব্যাংকিং-এ নিয়োগের ক্ষেত্রে সাধারণত ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার আলাদা আলাদা পদের জন্য কর্মী নিয়োগ করা হয়ে থাকে।

যোগ্যতা-
এক্ষেত্রেও আবেদনকারী সকল পরীক্ষায় কমপক্ষে ২য় শ্রেণীসহ স্নাতক ডিগ্রীর অধিকারী হলেই General Banking-এ আবেদন করতে পারেন।
Lateral Recruitment
সর্বশেষ এই এন্ট্রি পয়েন্টটি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোকদের জন্য। এক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা বা বয়সের নির্দিষ্ট কোন সীমাবদ্ধতা নেই। যে কেউ, যে কোন সময়, যে কোনভাবে নিয়োগ হতে পারে।

যোগ্যতা-
সাধারণত ব্যাংকগুলো আবেদনকারীর Marketing, HR, IT সম্পর্কিত চাকরির অভিজ্ঞতা চেয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ব্যাংকিং এ অনভিজ্ঞ ব্যক্তিরাও Lateral Recruitment এর মাধ্যমে ব্যাংকিং ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।


Management Trainee Officer (M.T.O) or Probationary Officer (P.O) Recruitment

প্রত্যেকটি ব্যাংকের M.T.O বা P.O পদের জন্য বিশেষভাবে অত্যন্ত যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ করা হয়ে থাকে। আকর্ষণীয় বেতনের পাশাপাশি এই পদধারী ব্যক্তিদের পদোন্নতিও হয় খুব তাড়াতাড়ি।
M.T.O বা P.O দের জন্য প্রাথমিক অবস্থায় কোন পদ থাকে না। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং প্রবেশনারী পিরিয়ড শেষ হওয়ার পর তাদেরকে সিনিয়র অফিসার অথবা প্রিন্সিপাল অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে যারা ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে বিভিন্ন ব্যাংকে রয়েছেন, তাদের অনেকেই চাকরি জীবনের শুরুতে M.T.O বা Probationary Officer হিসাবে শুরু করেছিলেন। তবে এই দুটি পদের মধ্যে বেশ কিছু সামঞ্জস্য থাকলেও সামান্য কিছু পার্থক্যও রয়েছে। কোন কোন ব্যাংকে সদ্য স্নাতকদের M.T.O হিসেবে বা P.O পদে নিয়োগ করা হয়ে থাকে।

M.T.O ও Probationary Officer পদে নিয়োগ প্রাপ্তদের প্রাথমিক বেতন ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা হয়ে থাকে। অভিজ্ঞতার সাথে সাথে বেতনের পরিমাণ বাড়ে।
M.T.O দের বলা হয়ে থাকে 'They are the future leaders of the bank'। অর্থাৎ তারাই হচ্ছেন একটি ব্যাংকের ভবিষ্যতের কাণ্ডারী। প্রবেশনারী পিরিয়ড শেষে একজন MTO-কে কি পদে অধিষ্ঠিত করা হবে তা নির্ভর করে উক্ত ব্যাংকের নীতিমালা, MTO-এর প্রবেশনারী পিরিয়ডের কর্মদক্ষতা এবং প্রশিক্ষণের এর উপর।

যোগ্যতা-
সাধারণত সব বিভাগের ডিগ্রীধারী ছাত্র-ছাত্রীরা M.T.O বা P.O পদে আবেদন করতে পারেন। তবে কিছু কিছু বেসরকারী ব্যাংকে নির্বাচিত কিছু বিষয়ে ডিগ্রীধারীদের প্রাধান্য দিয়ে থাকে। যেমন- ব্যবসায় প্রসাশন, ইংরেজি, পরিসংখ্যান, অর্থনীতি, গণিত ইত্যাদি। সাধারণত চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩০ বছর নির্ধারণ করা হয়।
অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা
ব্যাংকে চাকরির ক্ষেত্রে মূল বেতনের পাশাপাশি আরও কিছু সুযোগ সুবিধা রয়েছে। সেগুলো হলো-
- বছরে দু'টি আনুষ্ঠানিক ভাতা।
- লভ্যাংশে বোনাস বছরে প্রায় দুই-তিনটি।
- চাকরিজীবী ঋণ, কম্পিউটার ঋণ, গৃহ ঋণ ইত্যাদি।
আবার একটি ব্যাংকে চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর বিভিন্ন প্রকল্প, বেসরকারী কোম্পানি, এবং অন্যান্য ব্যাংকেও চাকরির সুযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বৈদেশিক ব্যাংকগুলোর অন্যান্য দেশেও শাখা আছে। ভালো কর্মদক্ষতার উপর নির্ভর করে এসব বৈদেশিক শাখাতেও আপনি চাকরির সুযোগ পেতে পারেন। ব্যাংকে চাকরির ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা ও কর্মদক্ষতার উপর ভিত্তি করে বেতন বাড়তে থাকে।


Testimonials

Read what our customers have to say

Martin Davis

Manager / Company

"Voluptas sit aspernatur aut odit aut fugit sed quia consequuntur magni."

Patricia Watson

Marketing / Company

"Commodi consequatur quis autem vel eum iure reprehenderit qui."

Dozens of satisfied clients

We will make you visible

© 2018 P-R-Evolution Agency. 12 Pike St, New York, NY 10002
Powered by Webnode Cookies
Create your website for free! This website was made with Webnode. Create your own for free today! Get started